গরমকালে পারফিউম ছাড়া বাইরে বের হওয়ার কথা ভাবতে পারেন না অনেকে। পারফিউম এক বার চাপলে বা স্প্রে করলে নির্দিষ্ট পরিমান লিকুইড বের হয়, যা আমাদেরকে গরমে ঘামের দুরগন্ধ থেকে দূরে রেখে সুগন্ধি দেয়। তবে পারফিউম দিতে গিয়ে আমরা অনেকেই ভুল করে ফেলি।
শরীরের ভুল জায়গায় পারফিউম দিয়ে ফেলি এবং পরে এর বাজে অভিজ্ঞতায় পরি যা মেনে নেয়া যায় না। এতে করে হিতে বিপরিত হয়ে যায়। এমনকি উল্টো এতে ক্ষতিই হতে পারে।
পারফিউম তাই যেমন তেমন করে লাগালেই হবে না। তাই জেনে নিন শরীরের যেসব জায়গায় পারফিউম না দেওয়াই ভালো-
যেখানে পারফিউম দিবেন নাঃ
১) চোখ
চোখে পারফিউম দেওয়ার মতো বোকামি করবে না কেউ। কিন্তু ভুলেও যদি চোখে পারফিউম চলে যায় তাহলে দ্রুত অনেক বেশি করে পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
কারণ পারফিউমে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালকোহল বা স্পিরিট থাকে। এতে করে চোখে জ্বলুনি ও চুলকানিও হতে পারে।
২) চুল
চুলে যে কোনো ধরনের গন্ধ–ভালো বা খারাপ- অনেক সময় ধরে বয়ে বেরায়। তাই চুলে পারফিউম দিলে অনেকটা সময় সুগন্ধ রয়ে যায়।
আসলে পারফিউমে অ্যালকোহল থাকলে তা চুলের ক্ষতি করতে পারে।
বিশেষ করে পারফিউম সরাসরি চুলে স্প্রে করাই যাবে না।
তাই হেয়ারব্রাশে পারফিউম স্প্রে করে তার পর সেই ব্রাশ দিয়ে আলতো করে চুল আঁচড়ে নিতে পারেন।
৩) হাত
হাতের কবজিতে অনেকেই পারফিউম স্প্রে করে এবং দুহাতের কব্জি এক সাথে করে ঘষে নেন।
এতে করে সারাদিনই শরীরে সুগন্ধি থাকে। কিন্তু খেয়াল করতে হবে যে,কব্জি থেকে যেন এই পারফিউম হাতে না লেগে যায়।
কারণ এতে ত্বক শুষ্ক হতে পারে এমনকি ত্বক ফেটেও যেতে পারে। আর হাত থেকে চোখে পারফিউম গেলে তাতেও সমস্যা হবে।
৪) বগল
ডিওডোরেন্ট বগলে দেওয়া গেলেও পারফিউম সেখানে স্প্রে করা যাবে না।
কারণ বগলে থাকা ঘাম গ্রন্থিতে পারফিউম জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে।
৫) যৌনাঙ্গ
লজ্জাস্থানে পারফিউম দিলে প্রদাহ, জ্বালাপোড়া এমনকি ব্যথাও হতে পারে। আবার অন্য ধরনের সমস্যাও হতে পারে ।
আর তাই সেখানে পারফিউম ব্যবহার করা যাবে না।
তাহলে পারফিউম দিতে হবে কোথায়?
পালস পয়েন্টে পারফিউম দেওয়া সবচেয়ে ভালো, যেমনঃ গলা, কব্জি ও হাঁটুর পেছনের দিকে।
এসব জায়গায় ত্বকের তাপ বেশি থাকে বলে পারফিউম ত্বকের ক্ষতি করবে না।তাই পারফিউম ব্যাবহার এ সতর্ক হতে হবে।