রমজানে রোজা রাখার ফলে সারাদিন আমরা না খেয়েই থাকি এবং মনে করি যে এই সময় ওজন কমে যায়।কিন্তু এই ধারনা ভুল।রোজা ছারা আমরা তিন বেলা খাই এবং রোজার সময়ও তিন বেলাই খাই- সেহেরি, ইফতার আর রাতের খাবার মিলিয়ে। তাই রমজানে ওজন কমে তা ভাবলে ভুল হবে।রমজানে ওজন নিয়ন্ত্রন বা কমাতে কিছু সাধারন জিনিস জানতে বা মানতে হবে তা হল-
রমজানে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা কমানোর আগে জানতে হবে যে, রমজানে ওজন বারে কেন?
১। রোজা রাখার পর ইফতার করলেও চোখের খিদা মিটানর জন্য আমরা বারতি খাবার খাই।
২।ইফতারে সাধারনত ভাজা পোরা তেলযুক্ত খাবার বেশি খাই।
৩। দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার ফলে এসিডিটির সমসসা দেখা দেয়।
৪। ইফতারের ৩/৪ ঘণ্টা পরেই রাতের খাবারর খাই, সারা দিন না খাওয়ার জন্য।
৫। দাওয়াত বা রমজানের জন্য খাবার এর আকর্ষণীয় অফার দেখে আমরা ঐ সব মুখ রোচক খাবার খাই যা অসম্ভব ক্ষতিকর হয়ে দারায় আমাদের জন্য।
রমজানে যাতে ওজন না বারে তার জন্য যা যা করতে হবেঃ
ইফতারিতে যা খাবেনঃ
১।ইফতারির শুরুতেই ভাজাপোরা না খেয়ে আগে পানি খেতে হবে পরিমান মত।
২। ভাজাপরা ( পেঁয়াজু, বেগুনি,কাবাব,চপ) অধিক না খেয়ে একটা বা দুইটায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৩। শিঙ্গাড়া , সমুচাতে কেলরি বেশি থাকে, তাই এগুলা কম খেতে হবে। চেষ্টা করতে হবে এগুলো খেলে অন্য ভাজা পোরা না খাওয়ার।
৪। হালিম এ ডাল আর মাংসে মিলিয়ে ক্যালরিতে ভরপুর থাকে। হালিম যদি খেতেই হয় বাহিরের তৈরি না খেয়ে বাসায় তৈরি করা হালিম খাবেন, এতে করে ডায়েটে খতিটা কম হবে।
৫। হালিম আর ছোলা প্রায় কাছাকাছি ক্যালরি থাকে, তাই এই দুইটা একসাথে না খেয়ে যেকোনো একটা একদিনে খাবেন।
৬। চিনির শরবত বেশি না খেয়ে এর বিকল্পে ডাব খেতে পারেন। এতে দেহ মন দুটাই ভাল থাকবে।
৭। বাহিরের শরবত না খেয়ে বাসায় বানানো শরবত খাবেন। ফলের শরবত বেশি বেশি খাবেন।
৮। শসা খাবেন। এতে কোন ক্ষতিকর কিছু নেই।
৯। ফলমূল খাবেন।
১০। খালি পেটেই ঝাল না খেয়ে অন্য খাবার খাবেন।
১১। কোন ধরনের বাহিরের মুখরোচক খাবার খাবেন না, খুব দরকার না হলে।
১২। অনেকে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে করা করে দুধ চা খান, কিন্তু এটা ঠিক না।
১৩। হালকা চিনির রং চা বা গ্রীন টি খেতে পারেন।
১৪। ভুল করেও ক্যাফেইন গ্রহন করবেন না, রোজার সময়ে।
রাতের খাবারঃ
রাতের খাবার যেহেতু ইফতার এর ৩/৪ ঘণ্টা পরেই খাই এবং তারাবী নামাজ এর পরে খাই। তাই রাতের খাবার টা বেশি ভারি না করে যতোটা সম্ভব হালকা খেতে হবে। যেমনঃ
১। একটা রুটি বা পরটা। এর যারা ভাত খান তারা আধা প্লেট ভাত খাবেন।
২। মাছ বা মাংস একসাথে না খেয়ে যেকোনো একটা খেতে পারেন।
৩। শাক খাবেন যত পারেন, পরিমান মত।
৪। টক দই খেতে পারেন , খাবার পরে। এতে হজমে ভাল সাহায্য করবে।
৫। পানি খেতে হবে পরিমান মত।
সেহেরিতে যা খাবেনঃ
সেহেরী খাবার এরে উপর এই নির্ভর করে আমাদের সারা দিনের না খেয়ে বা রোজা রেখে ফিট থাকা। তাই সেহেরির খাবার হালকা না হয়ে একটু ভারি হলে ক্ষতি নেই, তবে পরিমান এর বাহিরে বা অতিরিক্ত নয়।
১। ভাত বা রুটি অল্প পরিমানে। মাছ বা মাংস অল্পই খাবেন।
২। সবজি বেশি খাবেন। এতে করে ফিট ভাল থাকবেন।
৩। দুধ খাবেন।
৪। বাহিরের খাবার যেমনঃ পিজ্জা, বারগার,ফ্রাই করা মুরগীইত্যাদি খেতে চান বা খাবেন, তারা একটু রমজান মাসে সেহেরির সময় এই অভ্যাস এড়িয়ে চলবেন।
৫। প্রয়োজন এর বেশি ঝাল খাবার খাবেন না।
৬। সেহেরী খাওয়ার পরে অন্তত ২০-৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করবেন।
৭।সেহেরিতে সময় হাতে নিয়ে উঠে খাবেন। যাতে খাওয়ায় কম বা বেশি না হয়।